Sunday, September 30, 2018

চাঁদ হেরিছে চাঁদমুখ তার

চাঁদ হেরিছে চাঁদ-মুখ তার সরসীর আরশিতে।
ছুটে তরঙ্গ বাসনা-ভঙ্গ সে অঙ্গ পরশিতে।।
 
হেরিছে রজনী - রজনী জাগিয়া
চকোর উতলা চাঁদের লাগিয়া,
কাঁহা পিউ কাঁহা ডাকিছে পাপিয়া
কুমুদীরে কাঁদাইতে।।
 
না জানি সজনী কত সে রজনী
কেঁদেছে চকোরী পাপিয়া,
হেরেছে শশীরে সরসী-মুকুরে
ভীরু ছায়া-তরু কাঁপিয়া।
 
কেঁদেছে আকাশে চাঁদের ঘরণী
চির-বিরহিণী রোহিণী ভরণী
অবশ আকাশ বিবশা ধরণী
কাঁদানিয়া চাঁদিনীতে।।
 
রাগ: বাগেশ্রী,
তাল: কাহার্‌বা
কথা ও সুর: কাজী নজরুল ইসলাম
 
* ড. ব্রহ্মমোহন ঠাকুর - নজরুল সঙ্গীত নির্দেশিকা অনুযায়ী,

 এই প্রচলিত সুরটির প্রকৃত সুরকার হলেন কাজী অনিরুদ্ধ

Tuesday, September 4, 2018

দোলনচাঁপা বনে দোলে

দোলনচাঁপা বনে দোলে দোলপূর্ণিমা রাতে চাঁদের সাথে,
শ্যামপল্লব কোলে, যেন দোলে রাঁধার লতার দোলনাতে।।

যেন দেবকুমারীর শুভ্র হাসি, ফুল হয়ে দোলে ধরায় আসি
আরতির মৃদুজ্যোতি প্রদীপ কলি দোলে, যেন দেউল আঙিনাতে।।

বন-দেবীর ওকি রুপালি ঝুমকা চৈতি সমীরণে দোলে
রাতের সলাজ আঁখিতারা যেন তিমির আঁচলে দোলে, দোলে।

ও যেন মুঠিভরা চন্দন গন্ধ, দোলেরে গোপিনীর গোপন আনন্দ
ও কি রে চুরি করা শ্যামের নুপুর,
তন্দ্রা যামিনীর মোহন হাতে।।

নয়ন ভরা জল গো তোমার

নয়ন ভরা জল গো তোমার আঁচল ভরা ফুল
ফুল নেব না অশ্রু নেব ভেবে হই আকুল।।
ফুল যদি নিই তোমার হাতে
জল রবে গো নয়ন পাতে
অশ্রু নিলে ফুটবে না আর প্রেমের মুকুল।।
মালা যখন গাঁথ তখন পাওয়ার সাধ যে জাগে
মোর বিরহে কাঁদ যখন আরও ভালো লাগে।
পেয়ে তোমায় যদি হারাই
দূরে দূরে থাকি গো তাই
ফুল ফোটায়ে যায় গো চলে চঞ্চল বুলবুল।।

বিদায় বেলায় করুন সুরে


বিদায় বেলায় করুন সুরে গাইছো কেন গান
সুরের সাথে হল আকুল পাষান পরান।।

আজকে ব্যাথায় উঠলো ভরে
মালার কুসুম পড়লো ঝ’রে
পরান আমার কেমন করে
নেবে তব দান।।

বৃথায় ফুলে সাজাও মোরে
ভাসায় যত নয়ন লোরে
প্রানের ঠাকুর ডাকেন মোরে
কাদে মম প্রান।।